ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ইডি বা সহজ কথায় পুরুষত্বহীনতা নামেও পরিচিত। সংজ্ঞা: ED কে লিঙ্গের উত্থান পেতে এবং বজায় রাখতে অক্ষমতা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, যৌনতার জন্য যথেষ্ট দৃঢ়। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ED এমনকি সময়ে সময়ে সাধারণ ব্যক্তিদের মধ্যেও ঘটতে পারে। বিষণ্ণতা; চাপ উদ্বেগ সম্পর্কের সমস্যা; শারীরিক বা মানসিক ক্লান্তি; চিন্তা আর্থিক এবং মানসিক সমস্যা - এই সমস্ত ইডি অস্থায়ীভাবে বা দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে হতে পারে। ED-এর চিকিৎসার কারণ: ED-এর কারণ হতে পারে এমন মেডিক্যাল অবস্থা হল ডায়াবেটিস; হার্টের অবস্থা; উচ্চ কলেস্টেরল; উচ্চ্ রক্তচাপ; প্রোস্টেট সার্জারি; ক্যান্সারের বিকিরণ চিকিত্সা; ট্রমা ব্যথা নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ, অ্যালার্জি এবং বিষণ্নতার জন্য ওষুধ; এবং অবৈধ ড্রাগ, তামাক এবং অ্যালকোহল ব্যবহার। ED এর জটিলতা/ প্রভাব: ED একটি অসন্তোষজনক যৌন জীবন সৃষ্টি করতে পারে; মানসিক চাপ বা উদ্বেগ; বিব্রত বা কম আত্মসম্মান; সম্পর্কের সমস্যা; এবং সম্ভবত, বন্ধ্যাত্ব। ED প্রতিরোধ: ED বার্ধক্য প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক এবং রুটিন অংশ হিসাবে ঘটতে পারে। তবে ইডি প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে: 1) নিয়মিত চেক আপ এবং মেডিকেল স্ক্রিনিং। 2) শারীরিক, মানসিক এবং মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার জন্য চিকিৎসা অবস্থার চিকিত্সা করুন। 3) ED বন্ধ করার, হ্রাস করার বা পরিবর্তন করার বিকল্পটি বিবেচনা করুন - কারণ ওষুধগুলি (চিকিৎসা পরামর্শের সাথে কঠোরভাবে)। 4) নিয়মিত ব্যায়াম করুন 5) সর্বোত্তম ওজন বজায় রাখুন 6) ধূমপানের পাশাপাশি অ্যালকোহল এবং অবৈধ ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করুন 7) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন। ED-এর প্রচলিত চিকিৎসা: ED-এর মানসম্মত ও প্রচলিত চিকিৎসা নিম্নরূপ: 1) পরিচিত কারণের চিকিৎসা করুন 2) Viagra-এর মতো ওষুধ ব্যবহার করে নাইট্রিক অক্সাইড (NO) বৃদ্ধি করুন (চিকিৎসার পরামর্শে কঠোরভাবে); হৃদরোগ, হার্ট ফেইলিওর এবং নিম্ন রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ওষুধগুলি বিপরীত নির্দেশিত হতে পারে। 3) ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ, সরাসরি লিঙ্গে দেওয়া 4) ইউরেথ্রাল সাপোজিটরি 5) টেস্টোস্টেরন প্রতিস্থাপন 6) লিঙ্গ পাম্প 7) পেনাইল ইমপ্লান্ট 8) ব্যায়াম 9) মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ। ED-এর জন্য প্রাকৃতিক চিকিৎসা: ED এর সাহায্যে প্রাকৃতিকভাবে চিকিত্সা করা যেতে পারে: 1) ডায়েট, যার মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং মাছ 2) মাঝারি থেকে তীব্র কার্যকলাপের ব্যায়াম, সপ্তাহে প্রায় 4 থেকে 5 দিন 3) ভাল মানের ঘুম প্রতিদিন কমপক্ষে 7 থেকে 8 ঘন্টা 4) অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করা এবং সর্বোত্তম স্তরে ওজন বজায় রাখা 5) একটি ইতিবাচক, স্বাস্থ্যকর মনোভাব এবং ভাল আত্মসম্মান বজায় রাখা 6) যৌন পরামর্শ 7) স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট 8) অ্যালকোহল গ্রহণ কমানো বা বন্ধ করা 9) সম্পূর্ণরূপে ধূমপান বন্ধ করুন 10 ) পর্যাপ্ত সূর্যের এক্সপোজার বা ভিটামিন ডি সম্পূরক গ্রহণ করুন 11) খাদ্যে পর্যাপ্ত জিঙ্ক গ্রহণ নিশ্চিত করুন বা জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন 12) অনুনাসিক শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ED-এর আয়ুর্বেদিক ভেষজ চিকিত্সা: ED-এর আয়ুর্বেদিক চিকিত্সা এই আকারে হতে পারে: ক) স্থানীয় প্রয়োগ: এর মধ্যে রয়েছে জ্যোতিষমতি (সেলাস্ট্রাস প্যানিকুলাটাস), লতাকাস্তুরি (কস্তুরি মালো), জয়ফল (জায়ফল), লাভাং (জ্যোতিষমতি) এর মতো ওষুধের তেল বা মলম। লবঙ্গ) এবং তেজপাতা (তেজপাতা)। এই ওষুধগুলির একটি উদ্দীপক প্রভাব রয়েছে যা লিঙ্গে প্রয়োগ করার সময় ভাসোডিলেশন ঘটায় এবং উত্থান বজায় রাখতে সাহায্য করে। খ) মৌখিক ওষুধ: এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু আয়ুর্বেদিক ওষুধ যা ইডির চিকিৎসায় বিভিন্ন পদ্ধতির কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে: ১) ভেষজ যেমন ডালচিনি (দারুচিনি), আদরক (আদা), মেথি (মেথি), কেসর (জাফরান) এবং আনার (ডালিম) এর মতো ফল। এই সবগুলির রক্ত পাতলা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে, কোলেস্টেরল কমায় এবং ধমনীতে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় 2) ভেষজ এবং খাবার যা টেস্টোস্টেরন বাড়ায়: এর মধ্যে রয়েছে অশ্বগন্ধা (উইথানিয়া সোমনিফেরা), গোকসুর (ট্রাইবুলাস টেরেস্ট্রিস), সেফেদ মুসলি (ক্লোরোফাইটাম বোরিভিলিউনাম), শতাভারি (আসপারা)। racemosus), Shilajit (Asphaltum punjabianum), Kraunch beej (Mucuna pruriens), গাজর, Beetroot এবং spinach 3) কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক: এগুলি স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে এবং যৌন ইচ্ছা বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে শিলাজিৎ, ভার্ধারা (আর্জিরিয়া নার্ভোসা), শুদ্ধ কুচলা (বিশুদ্ধ নাক্স ভোমিকা), অভ্রক ভাসমা (বিশুদ্ধ মাইকা), কস্তুরি (মোসকাস ক্রাইসোগাস্টার) এবং ভ্যাং ভাসমা (বিশুদ্ধ টিন অ্যাশ) এর মতো ওষুধ 4) স্নায়ুতন্ত্রের অস্থিরতা হ্রাস করে: স্ট্রেস এবং পেশী শিথিল এবং এর ফলে ED সাহায্য. এর মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মী (বাকোপা মনিয়েরি), শঙ্খপুষ্পী (কনভোলভুলাস প্লুরিকাউলিস) এবং জটামানসি (নারদোস্টাচিস জাটামানসি) 5) স্নায়ুতন্ত্রের স্থিতিশীলতা: দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে, এই ওষুধগুলি স্নায়ুতন্ত্রকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে এবং তাই ইডি-তে সাহায্য করে। এই বিভাগে অন্তর্ভুক্ত ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ ভাসমা (বিশুদ্ধ সোনার ছাই), রৌপ্য ভস্ম (বিশুদ্ধ রূপালী ছাই) এবং রস সিন্দুর। এই বিভাগের অন্তর্গত কিছু সুপরিচিত আয়ুর্বেদিক সূত্র হল ব্রুহত ভাত চিন্তামণি, ব্রুহত কস্তুরী ভৈরব রাস, বসন্ত কুসুমাকর রাস এবং ত্রিভঙ্গ ভস্ম। এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে উপরে উল্লিখিত ভেষজগুলির বেশিরভাগই একাধিক স্তরে থেরাপিউটিক ক্রিয়া প্রদর্শন করে এবং এতে ছোট অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘ অভিনয়ের বৈশিষ্ট্যও থাকতে পারে। দাবিত্যাগ: স্ব-ঔষধ এড়িয়ে চলুন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ বা পরিবর্তন করবেন না। দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিন। এমনকি আয়ুর্বেদিক ওষুধের জন্যও একজন যোগ্য এবং অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভালো মানের ওষুধ ও ভেষজ ব্যবহার করুন। অপ্রকাশিত বিষয়বস্তু এবং অবিশ্বস্ত উৎস থেকে ভেষজ গুঁড়ো গ্রহণ এড়িয়ে চলুন.